ক.বি.ডেস্ক: চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ডাউনলোডের পরিমানের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শীর্ষ দশটি অ্যাপের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফাইল শেয়ারিং, কন্টেন্ট স্ট্রিমিং এবং গেমিং অ্যাপ ‘‘শেয়ারইট’’। এমন তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শেয়ারইট গ্রুপ। তৃতীয় প্রান্তিকে টপ ব্রেকআউট অ্যাপের এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে শিল্পখাতের মোবাইল অ্যাপ তথ্য বিশ্লেষক প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ অ্যানি।
সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যাপসফ্লায়ার’র পারফরম্যান্স ইনডেক্স প্রতিবেদনে বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও অঞ্চলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে শেয়ারইট। আইএপি সূচকের ভলিউম র্যাঙ্কিংয়ে সকল ক্যাটাগরিতে গুগল, ফেসবুক এবং টিকটকের পরে বৈশ্বিকভাবে ৪ নম্বর অবস্থানে রয়েছে শেয়ারইট। এ ছাড়াও, উত্তর আমেরিকায় ১ নম্বরে এবং লাতিন আমেরিকায় ২ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে শেয়ারইট।
এ সম্পর্কে শেয়ারইট গ্রুপের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কারাম মালহোত্রা বলেন, করোনা মহামারির ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ফোনে বেশি সময় কাটানোর প্রবণতা বেড়েছে, কারণ তারা প্রতিনিয়ত বিনোদন ও গেমিংয়ের বিকল্প খুঁজতে থাকে। ফলে এ সময়ে সৃষ্ট নতুন বাজারে ব্যবহারকারীদের মাঝে শেয়ারইটের ব্যবহার ও গ্রহণের পরিমান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার মতো উঠতি বাজার যেখানে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের ঘাটতি আছে, সেখানে শেয়ারইট তাদের অফলাইন সামর্থ্যর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট নিশ্চিত করেছে এবং তাদেরকে নিজেদের মধ্যে অ্যাপ, মিউজিক, ভিডিও ও গেম আদান-প্রদান করতে সক্ষম করেছে।
শেয়ারইটের মূল ফিচার হলো, ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে সক্রিয় ইন্টারনেট ছাড়াই এক ডিভাইস থেকে কাছের দুরত্বের অন্য ডিভাইসে ফাইল স্থানান্তর এবং ভিডিও, অ্যাপ, ছবি ও অন্যান্য বিভিন্ন কনটেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের গেমিং, কনটেন্ট ডিসকভারি এবং কনজামশন সেবা প্রদান করে শেয়ারইট নিজেদের একটি একটি ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অ্যাপে শেয়ারইটের একটি নির্দিষ্ট গেমিং সেন্টার আছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের জন্য জনপ্রিয় গেম ডাউনলোড করার অপশনসহ এইচটিএমএল৫ গেম ও গেমিং ভিডিও রয়েছে।