ক.বি.ডেস্ক: ১৮ অক্টোবর ‘‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’’ এ দেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং চর্চাকে জনপ্রিয় এবং সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে ‘দিনব্যাপী স্ক্র্যাচ কর্মশালা’র আয়োজন করা হচ্ছে। ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কোনরকম আবেদন ফি ছাড়াই অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে ৪টি স্লটের যেকোনো একটিতে এই কর্মশালায় অংশ নিতে পারবে। সকাল ১০টা থেকে ১১ টা; ১১.৩০ থেকে দুপুর ১২.৩০টা; দুপুর ২ টা থেকে ৩টা এবং বিকাল ৩ টা থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মশালায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের নিজের ল্যাপটপ নিয়ে আসার প্রয়োজন নাই। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করতে: https://forms.gle/D7wXzYrEETsE6nH69।আয়োজনের বিস্তারিত: https://fb.me/e/1ecitG6aZ
‘‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’’ এ দিনব্যপী স্ক্র্যাচ কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এবং কমপিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড (সিএসএল)। সহযোগিতায় স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড এবং গিগাবাইট টেকনোলজিস।
আইসিটিতে একটি দক্ষ জাতি গড়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশেও স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিং শেখার চল শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহজবোধ্য না হওয়ায় বাংলায় প্রোগ্রামিং শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিডিওএসএন। সিএসএল’র সহযোগিতায় প্রোগ্রামিং ভাষা স্ক্র্যাচকে (Scratch.mit.edu) বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার কাজ করেছে বিডিওএসএন যার ফলস্বরূপ Scratch.mit.edu ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষাযুক্ত করা হয়েছে।
স্ক্র্যাচ হল একটি ব্লকভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা যার মাধ্যমে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের মানুষ খুব সহজেই প্রোগ্রামিং লজিক শিখতে পারে এবং গেম, এনিমেশন ভিডিও, আর্ট ছাড়াও আরও নানা রকম প্রজেক্ট তৈরি করতে পারে। বিশ্বের মোট ৭০টি ভাষায় স্ক্র্যাচ ওয়েবসাইটে প্রোগ্রামিং করা যেত।
সম্প্রতি বাংলাকে যুক্ত করায় এখন থেকে স্ক্র্যাচ দিয়ে বাংলা ভাষায়ও কোডিং করা যাবে। এটি আমাদের বাংলা ভাষার জন্য একটি নতুন মাইলফলক যা আমাদের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং চর্চাকে জনপ্রিয় এবং সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং ভাষাকে বাংলায় ভাষান্তর করার সুফল পাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের প্রযুক্তি প্রেমীরা।