Saturday, November 23, 2024
More

    সর্বশেষ

    শিশুর জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে আগে বাবা-মাকে বদলাতে হবে

    ক.বি.ডেস্ক: করোনা মহামারীতে বিশ্বজুড়েই ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে বহুগুণে। অনলাইন ক্লাসসহ বিভিন্নভাবে শিশুরা ইন্টারনেট জগতে অবাধে বিচরণ করছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের অবাধ বিচরণ কতটা নিরাপদ? শিশুর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হলে আগে বাবা-মাকে বদলাতে হবে। ইন্টারনেট তথা প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের বাবা-মা সচেতন হলে সেটি শিশুর নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজে দেবে। তা না হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির শিকার হতে পারে।

    সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘‘শিশুর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১। গতকাল শনিবার (৯ অক্টোবর) আয়োজিত ওয়েবিনারের সভাপতিত্ব করেন ক্যাম জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য সরকারের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মেহতাব গাজী রহমান, সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের সিসিএ কার্যালয়ের সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিভাগের উপ-নিয়ন্ত্রক হাসিনা বেগম। সঞ্চালক ছিলেন ক্যাম জাতীয় কমিটির সদস্য কাজী মুস্তাফিজ।

    ডা. মেহতাব গাজী রহমান বলেন, অতিরিক্ত ইন্টারনেট নির্ভরতা শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। শিশুরা আগে যে সময়টা বাইরে গিয়ে খেলাধুলা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে কাটাতো, সে সময়টা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছে। শিশুর ওপর ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কিনা সেটি বুঝতে মোটা দাগে চারটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণের কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে কিনা, খাদ্যাভ্যাসে বড় কোনো পরিবর্তন আসছে কি না এবং চতুর্থত সামাজিক আচরণে আপনার সন্তান স্বাভাবিক আছে কি না। এগুলো বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে, সন্তানকে সময় দিতে হবে।

    প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বলেন, শিশুরা ইন্টারনেটের ব্যাবহার সম্পর্কে পুরোপুরি জানে না। তাই তারা সহজেই সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শিশুদের ইন্টারনেট জগতে নিরাপদ রাখতে ব্যাক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ক খুঁটিনাটি তাদের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের প্রতি প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের চর্চার পরামর্শ দেন তিনি। সহজেই বিভিন্ন ডিভাইসে এখন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা পাওয়া যায়।

    হাসিনা বেগম বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সচেতনতার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে ৮২ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবককেও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে যুক্ত করেছি আমরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির শুরুতে কিছু দিন অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে তরুণীরা হয়রানির শিকারও হয়েছেন অনেক। এই সচেতনতামূলক কাজে সম্মিলিতভাবে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    ইকবাল হোসেন বলেন, শিশুর জন্য সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে হলে আগে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা দেশে সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি গড়তে পারবো।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.