ক.বি.ডেস্ক: কোনো ব্যক্তি হঠাত করে বিপদে পড়লে যেন তার কাছের মানুষরা তারা অবস্থান জেনে উদ্ধার করতে পারে, নারীদের নানারকম হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষকরা মিলে তথ্য, নোট বা উপকরণ দিয়ে সহায়তা প্ল্যাটফর্মের মতো অ্যাপ তৈরি করে বিজয়ী হলো মেয়েরা। ৩৫ থেকে ১০টিকে বাছাই করে ৩টি টিমকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ‘‘মেয়েদের জন্য মোবাইল অ্যাপ প্রতিযোগীতার’’ মূল আয়োজক বিডিওএসএনের ইএসডিজি প্রজেক্ট ও ন্যাশনাল অ্যাপ স্টোর অব বাংলাদেশ বিডিঅ্যাপসের যৌথ উদ্যোগে। বিচারক হিসেবে ছিলেন রবির হেড অব ইনোভেশন অ্যান্ড ব্রান্ডেড ডিজিটাল সার্ভিসেস ফয়সাল আহমেদ, এসএসএল ওয়া্রলেসের ডেপুটি সিটিও মো, ইফতেখার আলম ইসহাক, বিডিওএসএনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসান রবিন।
গত সোমবার (৩ মে) বিডিওএসএন আয়োজিত ‘ব্রিজিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া টু ইনক্রিজ পার্টিসিপেশন অব ওমেন ইন আইসিটি সেক্টর: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড স্কোপ’ শীর্ষক অনলাইন ওয়েবিনারের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিডিওএসএনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বিজ এনগেইজমেন্ট লিড বিডিঅ্যাপস মো. আলতামিশ নাবিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিওএসএনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসান রবিন।
বিজয়ী দলগুলো হচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ওয়াচার ২৪-৭;প্রথম রানার আপ- ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের কোয়ারটি, দ্বিতীয় রানার আপ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নুল পয়েন্টার এক্সেপশন্স।
ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের এগিয়ে যাবার জন্য আলাদা সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে। যদি সেটা আমরা করতে না পারি তবে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে। তোমরা পারবে কথাটুকু দিয়েই মেয়েদের অনেক কঠিন কাজে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব। একটু সুযোগ দিলে তারা আরও অনেক বেশি দিতে পারবে দেশকে।
মুনির হাসান বলেন, আইটি খাতে তাদের অংশ ১৩ শতাংশেরও কম, আইটি উদ্যোক্তা ১ শতাংশেরও কম। এখন ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন হচ্ছে। আমার মনে হয়, একাডেমি সঙ্গে মেয়েদের যুক্ততা এবং বিভিন্ন আয়োজন এর খবর তাদের কাছে পৌছাতে পারলেও এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে।