ক.বি.ডেস্ক: এটুআই প্রোগ্রাম এবং বাসসের যৌথ উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।সঞ্চালনা করেন বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজা জেসমিন। কর্মশালার সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার জনজীবনকে সহজ, স্বাভাবিক ও সাবলীল করে দিয়েছে, যা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সময় ও খরচ কমিয়ে দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিদ্যুত ও পানির বিল দেয়ার জন্য এখন আর আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে কোথাও ঘুরতে হয় না। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তরুণরা ঘরে বসে বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা দেশে ওয়েবভিত্তিক নানা সমস্যা সমাধান করছে। আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এবং সফটওয়ার রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। এখন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ফলাফল সংগ্রহ, ভিসা প্রসেসিং, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল প্রদান, ছবি তোলা, ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ করাসহ সকল ধরনের সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ঘরে বসে পাচ্ছে। এর ফলে এসব সেবা পেতে আর গ্রামীণ বাসিন্দাদের শহরে আসতে হয় না। ফলে তাদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। এবং বেঁচে যাওয়া সময় ও অর্থ অন্য কাজে লাগানোর মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করতে সহায়ক হচ্ছে।
ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো গ্রামীণ মানুষকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা। কিন্তু বর্তমানে সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২৯০ টিরও বেশী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষকে সফলতার সঙ্গেই ডিজিটাল সুবিধাগুলো দিচ্ছে।
সুরথ কুমার সরকার সাংবাদিকদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার গল্পগুলো দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান। যাতে অন্যরাও এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশী বেশী ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করে। পাশাপশি ডিজিটাল প্ল্যাফর্মে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার জন্যও আহ্বান জানান এবং প্রয়োজনে এ বিষয়ে সরকারকে অবহিত করতে বলেন।
বাসসের সিটি এডিটর মধূসুধন মন্ডল, প্রধান বার্তা সম্পাদক (বাংলা) রুহুল গনি সরকার জ্যোতি, প্রধান বার্তা সম্পাদক এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, প্রধান প্রতিবেদক তারেক আল নাসের, এটুআইর সার্ভিস স্পেশালিস্ট দৌলতুজ্জামান খান, পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারোয়ার, কমিউনিকেশন অফিসার মামুনুর রহমান, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মিডিয়া আউটরীচ কনসালট্যান্ট আদনান ফয়সল উপস্থিত ছিলেন।