গত বছর স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ এবং সাড়া জাগানো সব ক্যাম্পেইন আয়োজনের পর, ফ্যান এবং ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে তাদেরকে আরও ঘটনাবহুল এবং আনন্দদায়ক নতুন বছর উপহার দিতে প্রস্তুত লাইকি। প্রতি মুহূর্তে নিত্যনতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্ল্যাটফর্মে নতুনভাবে ডিজিটাল কমিউনিকেশনের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে, লাইকি বাংলাদেশ এক দুর্দান্ত ২০২১ এর প্রত্যাশা করছে। এ বছর তারা তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে এবং তরুণরা যাতে করে সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে সে ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশে লাইকির হেড অব অপারেশন জয় নতুন বছরে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে একটি ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, বিনোদনমূলক এবং সৃজনশীল উপায়ে নিজেকে প্রকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল কমিউনিকেশন সহজ করে লাইকি। আমরা এখনও বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে নতুন এবং এদেশে কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা এ বাজার সম্পর্কে জানছি এবং শেখার চেষ্টা করছি। আমরা তরুণদের সঙ্গে আরও নতুন এবং উদ্ভাবনী উপায়ে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠেন। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের সহায়তায় আমাদের এ যাত্রায় ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইন ও পার্টনারশিপের মাধ্যমে লাইকির প্রচেষ্টা নতুন বছরেও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশিদের জীবনে আনন্দ ও বিনোদন যোগ করার লক্ষ্যে, ২০২০ সালে লাইকি বিভিন্ন নামকরা ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করে। যেমন- তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা ইতিবাচক উপায়ে প্রকাশে উত্সাহিত করতে লাইকি বাংলাদেশ বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ শুরু করে। হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ প্রিমিয়াম রিসোর্স এবং কাস্টমাইজড মেকানিসমের মাধ্যমে অংশীদারদের বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে অভিনব কায়দায় যোগাযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে।
২০২০ সালের আগস্টে টেকনো স্পার্ক ৫ প্রো হ্যান্ডসেটটি বাজারে আসার পর, ‘হাই ফাইভ’ স্টিকারের আদলে ড্যান্স জেসচার কাস্টমাইজ করা হয়। প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহারকারীদের প্রত্যেককে ‘‘#গিভমি৫’’ হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে উতসাহিত করতে এটি শুরু করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে যখন ভিভো নতুন মোবাইল ‘ওয়াই ২০’ বাজারে ছাড়া হয় তখন ভিভো ‘‘#ভিভোআলট্রাফান’’ নামক চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের প্রথম ডান্স শুরু করে। জনপ্রিয় অঙ্গভঙ্গি এবং আধুনিক সঙ্গীতের মিশ্রণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ‘ওয়াই’ অঙ্গভঙ্গিটি কাস্টোমাইজ করে তাদেরকে ওয়াই-২০ এর মুখপাত্র হওয়ার সুযোগ দেয়।
গত অক্টোবরে লাইকি অপোর নতুন স্মার্ট ডিভাইস ‘অপো এফ-১৭’ এর জন্য তাদের সঙ্গে কোলাবোরেসন করে, যার মাধ্যমে ‘‘#অরেঞ্জবুম’’ নামে আরেকটি চ্যালেঞ্জ শুরু হয়, যেখানে অরেঞ্জ-হিউ ফিল্টারের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী ইফেক্ট তৈরি করে স্ক্রিনে কমলা কাটার সঙ্গে সঙ্গে ‘ড্যান্স’ কিংবা ‘ফিঙ্গার ড্যান্স জেসচার’-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করেছিল।
#স্টেইনদ্যসেফজোন বাই পাবজি মোবাইল লাইকির আরেকটি উল্লেখযোগ্য হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত উদ্যোগ ছিল, যেখানে একটি জনপ্রিয় গেমে সেফ জোন চিত্রায়নের মাধ্যমে মহামারির সময় সবাইকে ঘরে থাকতে উত্সাহ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, লাইকি গত বছর বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে সমাজের জড়তা কাটিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চালু করা ‘‘#নোমিনসনো’’ ক্যাম্পেইনটি বিভিন্ন মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এসব ছাড়াও, লাইকি বাংলাদেশ তরুণদের মাঝে আনন্দের মাধ্যমে দায়িত্ববোধ তৈরি করতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮-২০ নভেম্বর, ২০২০-এ ‘জাস্ট কিডিং’ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা ভিডিও ধারণের পর তা শেয়ার করার সময় ‘‘#চিলড্রেন্সডে’’ ব্যবহার করে। বিজয় দিবস উপলক্ষে লাইকি বিশেষ এইচ৫ গেম ডিজাইন করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল ফুল জেতার পরে সে ফুল দিয়ে ভার্চুয়াল স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত হয়ে লাইকি বাংলাদেশ নতুন বছরে আরও নতুন ও উদ্ভাবনী উপায়ে তাদের বিভিন্ন উদ্যোগের ধারা অব্যাহত রাখবে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের তরুণদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।