হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের’ ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীনে আইডিয়া প্রকল্প অনলাইনে একটি বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
আজ শনিবার (১৫ আগষ্ট) অনলাইন পদ্ধতিতে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছেন একটি শোষণহীন, বঞ্চনাহীন, বেকারত্বমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা। এই সোনার বাংলা গড়তে হলে আমি মনে করি আমাদের আইসিটি হল একটি অন্যতম হাতিয়ার বা উপাদান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাতিয়ারটিকে সঙ্গে নিয়েছেন এবং এই হাতিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাইজড হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ইতোমধ্যে আইসিটি খাতে দক্ষতা, মেধা এবং সম্মান অর্জন করেছে। আগামীতে আমরা যে উন্নত বিশ্বের কথা বলি এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়েই তথ্য প্রযুক্তির হাত ধরে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
পার্থপ্রতিম দেব বলেন, শ্রদ্ধেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তবে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনের অনেক বিষয় তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো আমাদের তরুণরা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করবে এবং সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এমনটাই আশা ব্যাক্ত করেন।
সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত সাহসী। বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধুর গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সবশেষে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট কালো রাতে হত্যার শিকার হন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় আইডিয়া প্রকল্প। ৪৫ তম বার্ষিকীর শোকাবহ এই দিনে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে অনলাইনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ৫০টিরও বেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নেয়। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মনের বন্ধু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদা শিরোপা এবং আই পেজ বাংলাদেশের সিইও মাশরুর সুরিদ। এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক কাজী হোসনে আরা, প্রকল্পের পরামর্শকগণসহ আইসিটি বিভাগ ও বিসিসির কর্মকর্তাগণ।