সম্প্রতি, বাংলাদেশে গ্রুপ ভিডিও কল সুবিধা নিয়ে এসেছে ভাইবার। এ ফিচারের মাধ্যমে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ২০ জন একসঙ্গে গ্রুপ ভিডিও কল করতে পারবে। এর আগে ভাইবারের গ্রুপ অডিও কল ফিচারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবং গ্রুপ ভিডিও কলের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে ফেস-টু-ফেস আলোচনা ও কনফারেন্স সুবিধার জন্য এ বাংলাদেশ এ ফিচার উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রুপ ভিডিও কল করতে ক্লিক করুন https://vb.me/901b08।
অনলাইন নানা ফিচারের ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আমরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। ভাইবারের সহায়তায় ব্যবহারকারীরা এখন তাদের সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুস্থ ও নিরাপদ থেকে ফেস-টু-ফেস যোগাযোগ করতে পারবেন।
মিটিংয়ের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানুষকে একসঙ্গে জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। এক্ষেত্রে, সমাধান হিসেবে অনলাইন মিটিং তৈরি করেছে নতুন সুযোগ। তবে সেক্ষেত্রে, প্রয়োজন কার্যকরী ও সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে শেফের রান্নার ক্লাস থেকে ইয়োগা ইনস্ট্রাক্টরের ব্রিদ সাইকেলের ইয়োগা ট্রেনিং ক্লাস শিক্ষার্থীরা করতে পারবে সহজেই।
মোবাইল কিংবা ডেস্কটপ ডিভাইসে ভাইবার অ্যাপ থেকে সহজেই ভাইবার গ্রুপ ভিডিও কল ফিচারের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীরা স্ক্রিন শেয়ারিং ও ভিডিও ব্রডকাস্টিংও উপভোগ করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের নতুন স্বাভাবিকতায় মানিয়ে নিতে সরাসরি (ফেস-টু-ফেস) যোগাযোগে সমাধান হিসেবে কাজ করবে ভাইবারের গ্রুপ চ্যাট ও গ্রুপ ভয়েস কল ফিচার।
ভাইবারে ভিডিও কল শুরু করা খুবই সহজ। স্ক্রিনের ওপরে ‘ভিডিও’ বাটন প্রেস করার মাধ্যমে ভিডিও কল শুরু করা যাবে এবং চলমান ভিডিও কলে ‘মোর পার্টিসিপেন্ট’ প্রেস করলেই ভিডিও কলে যোগ করা যাবে অন্যদের।
গ্রুপ কলে যিনি কথা বলবেন তাকে স্ক্রিনে ফিচার করা হবে। এক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীরা যে কারও ভিডিও তাদের ব্যক্তিগত স্ক্রিনে সুরক্ষিতভাবে পিন করে নিতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা কল চলাকালীন কময়ে ‘মিউট’ থাকতে পারবেন এবং ভিডিও বন্ধ করে রাখতে পারবেন এবং একইসাথে দেখতে পারবেন কারা ‘মিউট’ অবস্থায় আছেন এবং ভিডিও বন্ধ করে রেখেছেন।
এ নিয়ে ভাইবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অফির ইয়াল বলেন, ভবিষ্যতে অংশগ্রহণকারীর এ সংখ্যাকে আরও বাড়াবো। ভাইবার সমাজের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে কাজ করে এবং আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ভিডিওর প্রয়োজনীয়তা আমাদের কাছে এখন অনেক বেশি। আমাদের বর্তমান বাস্তবতায় ফেস-টু-ফেস মিটিং করা সম্ভব নয়, এমন অবস্থায় ব্যবহারকারীদের অনলাইন মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়ে আসতে আমরা এ সুবিধা উন্মুক্ত করেছি।’