এখন বিদেশে থেকেও অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশে হিসাব খোলা যাবে। বিদেশে বসে বিকাশ অ্যাপে হিসাব খোলার এই সুযোগ তৈরি হওয়ার ফলে এখন প্রবাসীরা আগের তুলনায় আরও সহজে দিনের যেকোনো সময়ে দেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন। খবর প্রথম আলোর।
বিদেশে বসে বিকাশে হিসাব খোলার এই সুযোগ আগে ছিল না। তবে বিকাশের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানো যেত। সে ক্ষেত্রে একজন প্রবাসীকে দ্বারস্থ হতে হতো সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা মানি ট্রান্সফার কোম্পানি কিংবা ব্যাংকের।
বিকাশ জানিয়েছে, বিদেশ থেকে বিকাশ ব্যবহার করার জন্য একজন বাংলাদেশি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বসবাসরত দেশের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে হিসাব খুলতে পারবেন। এ ছাড়া বৈধ পথে বাংলাদেশ ছাড়ার প্রমাণপত্রসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। হিসাব খোলার পরে ১২টি দেশের ৮৩টির বেশি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান ও পেওনিয়ার থেকে নিজের বিকাশ হিসাবে টাকা লোড করে দেশের যেকোনো নম্বরে সেন্ড মানি (অর্থ পাঠানো) ও মোবাইল রিচার্জ করা যাবে।
যে ১২ দেশে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে হিসাব খোলা যাবে, সেগুলো হলো— যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইতালি, কাতার, ওমান, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত, বাহরাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিকাশ জানায়, লাখো প্রবাসী বহুদিন ধরে বিদেশে বসে বিকাশ ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন। বর্তমানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সুযোগ থাকলেও বিদেশে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। তাতে দিনের যেকোনো সময় টাকা পাঠানো যেত না। এখন সেই সুযোগ থাকবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেই বিদেশ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোনো ঝামেলা ছাড়া প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন মুহূর্তেই।
জানতে চাইলে বিকাশের কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, এই উদ্যোগের ফলে প্রবাসীরা আরও সহজে ও নিরাপদে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এ পদক্ষেপ বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্সের টাকা পাঠানোকে উৎসাহিত করবে।
বৈধপথে দেশে টাকা পাঠানো আগের থেকে সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের নভেম্বর মাসে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় আনার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশ থেকে সরাসরি প্রবাসী আয় সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সেই সুযোগ সবার আগে কাজে লাগাল বিকাশ।
ব্যাংকের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন চালুর সুযোগের ফলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।