বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) ১৯৯২ সালে নির্বাচিত নির্বাহি পরিষদের (ইসি) প্রথম সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন আজ রোববার আইসল্যান্ডের রিকজাভিকের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ৩.৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একপুত্রসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, কানাডায় অবস্থানরত একমাত্র ছেলে রনি সাজ্জাদের সঙ্গে কিছু দিন অবস্থানের উদ্দেশে কানাডায় যাত্রাকালে গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পথিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আইসল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিতসা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন দেশের কমপিউটার বিপ্লবের অন্যতম এক অগ্রদূত। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিসিএসের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন কমপিউটারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশে প্রথম কমপিউটার মেলা আয়োজনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার সময়কালে বিসিএসের প্রথম নির্বাহি পরিষদই ( ইসি) নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন, প্রখ্যাত শিল্পী হাশেম খানের ডিজাইন করা বিসিএসের লোগো চূড়ান্তকরণ, প্রথম কমপিউটার মেলা ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়।
কর্মক্ষেত্রে তিঁনি ছিলেন একজন কর্মবীর। তিনি বাংলাদেশে বিশ্বখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনের (আইবিএম) সেবা দাতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও আইবিএমের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে দক্ষতার নজির স্থাপন করেন। দেশে মেইনফ্রেমের সলিউশন নিয়ে প্রযুক্তি খাতে অবদান রয়েছে তার। তিনি দেশের কমপিউটার ট্রেড বডিতে তার অসাধারণ নেতৃত্ব কমপিউটার শিল্পকে এক অনন্য মাত্রায় উপনীত করেছে, কমপিউটারকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছেন।
তার মৃত্যুতে কমপিউটার বিচিত্রার পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করছে ও শো্ক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছে গভীর সমবেদনা।