স্মার্ট টেকনোলজিস দেশের বাজারে নিয়ে এলো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিগাবাইটের জি২৭এফসি-ইকে এবং জি৩২কিউসি-ইকে মডেলের দুটি নজরকাড়া গেমিং মনিটর। মনিটর দুটিতে থাকছে গেমারদের জন্য নেক্সট জেনারেশন রেডি সকল ফিচার্স ( হাই রিফ্রেশ রেট ও ডিসপ্লে পোর্ট সমর্থিত) এবং পাশাপাশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সর্বোচ্চ কালার একিউরিসি।
জি২৭এফসি-ইকে মডেলের গেমিং মনিটরটির মূল্য ২৭,৫০০টাকা। ক্রেতারা পাচ্ছেন ১৬৫ হার্টজের ২৭ ইঞ্চি আল্ট্রা লো লেটেন্সি (১মিলিসেকেন্ড) মনিটর যার রেজ্যুলেশন ১৯২০x১০৮০ বা ১০৮০পি। মনিটরটির সঙ্গে থাকছে বিল্ট ইন দুই ওয়াটের স্টেরিও স্পিকার।
জি৩২কিউসি-ইকে মডেলের গেমিং মনিটরটির মূল্য ৪৬,০০০ টাকা। ক্রেতারা পাচ্ছেন ৩২ ইঞ্চি আল্ট্রা লো লেটেন্সি (১মিলিসেকেন্ড) ১৬৫ হার্টজের প্যানেল যার রেজ্যুলেশন ২১৬০x১৪৪০ বা ১৪৪০পি। এ ছাড়াও পাবেন এএমডি ফ্রি সিংক প্রিমিয়াম প্রো সক্ষমতা এবং ১২৪ শতাংশ এসআরজিবি কালার একিউরিসি।
গিগাবাইটের দুটি মডেলেই রয়েছে ১৬৫ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সক্ষম। থাকছে এনভিডিয়া জি-সিংক এবং এএমডি ফ্রিসিংক প্রিমিয়াম সমর্থন যা গেমারদের দিবে কোন রকম স্ক্রিন টেয়ারিং ছাড়া আপোষহীন অভিজ্ঞতা। থাকছে ১২ মিলিয়ন বাই ওয়ান ডাইনামিক কন্ট্রাস্ট সক্ষমতা, আট বিট হাই কোয়ালিটি ভিএ প্যানেল এবং ভেসা ওয়াল মাউন্ট সক্ষমতা। রয়েছে নন গ্লেয়ার কোটিং যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি আলোর বিপরিতেও স্পষ্টভাবে কন্টেন্ট দেখতে পারবেন যা যেকোন গ্লসি ফিনিশ মনিটর থেকে এক ধাপ এগিয়ে।
গেমিং মনিটরগুলোতে থাকছে ১৫০০আর কার্ভ যার মাধ্যমে মনিটরগুলো বড় হওয়া সত্বেও কাছ থেকে বসে ব্যবহারকারিরা সহজেই সম্পূর্ণ কন্টেন্ট দেখতে পারবেন। তাই গেমার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা খুব সহজেই কাছ থেকে বসে খুব সহজেই ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতে পারবেন কিম্বা কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারবে কোন প্রকার শারীরিক বিগ্রহ ছাড়া। উভয় মনিটরে থাকছে থাকছে ব্ল্যাক স্টেবিলাইজার যার মাধ্যমে গেমাররা গেমের মধ্যে অতি অন্ধকার জায়গাগুলোতেও শত্রুদের দেখতে পারবেন অনায়াসে যা গেমারদের ই-স্পোর্টস বা প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করবে।
এ ছাড়াও থাকছে অন স্ক্রিন ডিসপ্লে ইন্টারফেস যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজের মতো মনিটরটির যেকোন সেটিংস (উজ্জলতা, কন্ট্রাস্ট, কালার পরিবর্তন, ব্লাক স্টেবিলাইজার লেভেল, রিফ্রেশ রেট নির্ধারণ, ক্রস হেয়ার অন অফ ইত্যাদি) পরিবর্তন করতে পারবেন অনায়াসেই তাই ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন মনিটরগুলোর উপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ।