অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের আয়োজনে সরকারের ২৮ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবগণের অংশগ্রহণে গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে ‘ই-নথি’ বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
সভাপতিত্ব করেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান। পরিচালনায় ছিলেন ন্যাশনাল কনসালটেন্ট নিলুফা ইয়াসমিন। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
কর্মশালায় জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় এনে দিতে বর্তমানে ৮,২৩৪টি সরকারি অফিসে ই-নথি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সারাদেশের ১৮ হাজার উপজেলা অফিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪০ হাজারের অধিক অফিসকেও উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে আনা হচ্ছে। এসব অফিসকেও ই-নথি ব্যবহারের অধীনে আনতে কাজ শুরু করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। একইসঙ্গে লালফিতার দৌরাত্মকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশে জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ই-নথি থেকে ডি-নথি (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তরঙ্গের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এবং কোভিড-১৯ এর অপ্রত্যাশিত অবস্থা মোকাবেলায় গত পাঁচ মাসে আমাদের মধ্যে ই-নথি ব্যবহারে যে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা থেকে আরও একটি নতুন সংস্করণে যেতে যাই। যেখানে অডিও-ভিজ্যুয়াল কল, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, ওসিআর, টেক্সট টু স্পিচ, স্পিচ টু টেক্সট, এআই প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটিয়ে ডি-নথি চালু করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের জন্য সার-সংক্ষেপ, ই-সাইন, ই-নথির নতুন সংযোজিত বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং ই-নথির নতুন ভার্সন সম্পর্কে অবহিত করা হয়। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটির সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।